বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ডোবরা আল গফুরিয়া মাদ্রাস ও এতিম খানার শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছোট ছেলে মো. জুনায়েদ বিন নাছের বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই অভিযোগকারীর বাবা মরহুম শাহ আবু নাছের ফখরুদ্দীন ১৯৭৫ সালে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা নিজ গ্রামে আল গফুরিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা নামের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ওই মাদ্রাসার পাশে রান্নাঘরের পাশে স্থাপনা তৈরী করতে ডোবরা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল হাসানকে নিষেধ করা হয়। এ বিষয়ে ১১ অক্টোবর জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট- এর বরাবর ১৪৪ ধারায় মামলা করা হয়। মামলা নং ৫৫৪/২১। এ আইনকে অমান্য করে ২৭ নভেম্বর শনিবার পৌনে ১টার সময় আবুল হাসানের নেতৃত্বে মাদ্রাসার পাশে আবারও রান্নাঘরের পাশে টয়লেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। সেখানে কাজ করতে মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ মাহমুদ নিষেধ করে। তখন তাকে সাজ্জাদুর রহমান শান্ত ও কেয়ারটেকার মাহফুজ মিলে বেধরক মারধর করেন। ওই ছাত্রকে ওবায়দুল্লাহ ও হুসাইন নামের ছাত্র উদ্ধার করতে গেলে তাকেও তারা মারধর করে। এমতাবস্থায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছোট ছেলে মো. জুনায়েদ বিন নাছের ঘটনা স্থলে গেলে তাকেও তারা মারধর করেন। তখন ৯৯৯ ফোন করে পুলিশকে ঘটনা স্থলে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় স্থানীয়রা শিক্ষক ও ছাত্রদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ নিয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা রোববার বিকেলে বোয়লমারী উপজেলার সামনে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেন। এসময় শিক্ষক ও মাদ্রাসার ছাত্ররা বলেন, অহেতু কারণে শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর হামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে ওই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহবান জানান। বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আলম বলেন, শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর হামলার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে সত্য ঘটনা উদ্ঘাটনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : অ্যাডভোকেট কোরবান আলী
Copyright © 2025 Boalmari Barta. All rights reserved.