স্টাফ রিপোর্টার: আদালত থেকে মামলা তুলে না নেয়ার কারণে লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাদীর দু’টি দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে আসামিরা। এ ঘটনায় মামলার বাদী ভ্যানচালক আজিজুল শেখ আদালতে আরও একটি মামলা করেছে।
জানা যায়, মামলার ১নং আসামি মাজেদুল ০১/০৪/২০২১ ইং তারিখে বিকেলে বাদী আজিজুল শেখকে মামলার মিমাংসার কথা বলে বোয়ালমারী কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের কাছে আসতে বলে। তখন ১নং আসামিসহ অন্যান্য আসামিরা এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে বাদী আজিজুলের দু’টি দাঁত ভেঙ্গে ফেলে এবং বিভিন্নভাবে তাকে মারধর করে। আঘাতে তার রক্তবমি হতে থাকে। প্রায়মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজুলের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনা উল্লেখ করে আদালতে মামলা করে আজিজুল। মামলা নং ২১২/২১। তাং ১৮/০৮/২১ ইং। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। মামলার আসামিরা হলেন মো. মাজেদুল, কামাল হোসেন, হামিদ শিকদার, নাসির উদ্দিন, ইমামুল শিকদার। ইতোপূর্বে উল্লেখিত আসামিরা আজিজুলের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে টাকা দাবি করে এবং না দিলে তার হাত-পা কেটে নেয়ার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে আজিজুল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলা নম্বর ১২৯/১৯। মামলাটি বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমএম আজম আলী স্বাক্ষীদের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য এবং অনুসন্ধানমূলক তদন্ত করে ০৪/০৩/২০২০ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেন। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাগুরা জেলার যশোবন্তপুর গ্রামের সুমাইয়াকে তার বাবা-মা জোর করে নোটারি পাবলীকের মাধ্যমে আজিজুল শেখের নিকট বিবাহ দেয়। কিন্ত বিয়ের পরপরই ০২/০৭/২০১৯ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা দেনমোহর পরিশোধান্তে খোলা তালাক দেয়। পরবর্তীতে সুমাইয়া পূর্বের প্রেমিক মাজেদুলকে বিবাহ করে। ১নং আসামিসহ অন্যান্য আসামিরা বাদীর নিজবাড়িতে গিয়ে দেনমোহর সংক্রান্ত ব্যাপারে ১লাখ টাকা চায়। বাদী দিতে অস্বীকার করিলে তাকে চরথাপ্পড় মারে এবং টাকা না দিলে হাত পা কেটে নেয়ার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে মামলার দেয়া আসামিদের একটি নম্বরে ফোন দিয়ে উল্লেখিত ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে মাজেদুলের বড় ভাই পরিচয় দিয়ে জানায়, আমি বরিশালে থাকি। মামলার ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। ১ নং আসামি মাজেদুলের মোবাইল নম্বর চাইলে তার কাছে নেই বলে জানায়।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গা দাঁতটি পকেটে করে এখনও ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে ভ্যানচালক আজিজুল। দাঁতটি ১৬.০১.২২ ইং তারিখে বার্তা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দেখান।
প্রকাশক ও সম্পাদক : অ্যাডভোকেট কোরবান আলী
Copyright © 2025 Boalmari Barta. All rights reserved.