এফ এম জাহাঙ্গীর আলম শাহজাহান সালথা
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় মেহগনি গাছের পাতা ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছে। সংঘর্ষের সময় হামলা চালিয়ে ৫টি বসতঘর ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা।
রবিবার (১৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বাসুয়ারকান্দী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে কানাইড় গ্রামে মেহগনি গাছের পাতা ঝাড়ু দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ শেখের সমর্থক ওমর মাতুব্বরের সাথে বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থক আকবর শেখের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ওমর মাতুব্বরকে মারধর করা হয়। এরই জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ কানাইড় গ্রামে গিয়ে উত্তেজনা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে কুদ্দুছ শেখের সমর্থকদের সাথে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় ৫টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থক মুন্নু শেখ, কামাল শেখ, রাজীব শেখ, রিপন শেখ, বাবু শেখ, সেলিম শেখ, আরিফ শেখ, সাকিব শেখ, মোহাম্মদ আলী ফকির ও কুদ্দুছ শেখে সমর্থক দুলাল শেখ শামীম মোল্যা, আনছার মাতুব্বর, তুহিন শেখ, শাহীন শেখসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ শেখ বলেন, আমার সমর্থক ওমর মাতুব্বরকে সকালে পারভেজ মাতুব্বরের লোকজন মারধর করে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় বাসুয়ারকান্দী গ্রামের আমার সমর্থকরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় দুলাল শেখকে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকরা মারধর করে। তখন ওখানেই সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে আমার ৭/৮ জন লোক আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে আমার জানা নাই।
এদিকে বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বর বলেন, কানাইড় গ্রামের উত্তেজনার বিষয়টি মিমাংসা করার কথা বলে পার্শ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে গিয়ে আমার সমর্থকদের কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে কুদ্দুছ শেখের লোকজন। হামলা ঠেকাতে গিয়ে আমার ১০/১২ জন লোক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসিকুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।