মামলা সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী গ্রামের মৃত সাদেক শেখের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কাদিরদী বাজারে অবস্থান করছিলেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে ঈদ উপলক্ষে কুশলাদি বিনিময় শেষে বাড়ির দিকে রওনা হন। এ সময় আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে দেলোয়ারের গতিরোধ করে তার ওপর দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। মুহূর্তের মধ্যে দেলোয়ারকে কুপিয়ে-পিটিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় দেলোয়ারকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন জানান, গত শুক্রবার দুপুরে দেলোয়ার হোসেনের মা বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করছিলেন। ওই সময় বাড়ির পাশের আরো কয়েক জন কিশোর গোসল করছিল। তারা ঝাঁপাঝাঁপি করে পুকুরের পানি ঘোলা করায় দেলোয়ার হোসেনের মা তাদেরকে ঝাঁপাঝাঁপি করতে নিষেধ করেন। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই কিশোররা তাকে লাঞ্ছিত করে।
বিষয়টি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বোয়ালমারী থানা পুলিশকে জানালে এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে একই গ্রামের মৃত বিল্লাল বিশ্বাসের ছেলে রিফাতকে (১৬) আটক করে থানা পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় কাদিরদী বাজারের এক দোকানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু, মো. দেলোয়ার হোসেন এবং অভিযুক্তদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, ঈদের পরে এ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। আর অভিযোগ তুলে নিয়ে আটককৃত রিফাতকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা হবে। সে মোতাবেক দেলোয়ার হোসেন থানায় ফোন দিয়ে রিফাতকে ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু রাত ১০টার দিকে কাদিরদী বাজার থেকে রিফাতের সহোদর মোবারক বিশ্বাস (২৫) ও রুবেল বিশ্বাসের (৩২) নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের দুর্বৃত্তরা মো. দেলোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : অ্যাডভোকেট কোরবান আলী
Copyright © 2025 Boalmari Barta. All rights reserved.