মো. রফিকুল ইসলাম: আশ্চার্য্য কথাই বটে। যেখানে নদী গিলে খায় ইটভাটা, সেখানে ইটভাটা গিলে খাচ্ছে নদী। এমন ঘটনা ময়না ইউপির ঠাকুরপুর বাজারের উত্তরপাশে একটি বড় ইটভাটা আছে। উক্ত ভাটার পূর্বপাশে ‘চন্দনা বারাসিয়া নদী’ মৃদু স্রোতা বারাশিয়া নদীটি কালুখালি উপজেলার উত্তর পাশে পদ্মা নদী হতে শুরু হয়ে বালিয়াকান্দি, মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, কাশিয়ানী উপজেলার মধ্যদিয়ে ভাটিয়াপাড়া গিয়ে মধুমতি নদীতে মিশেছে। উক্ত উপজেলাগুলোর পানি নিষ্কাশন এবং সেচ সুবিধার জন্য ১৯৬২ সালে নদীটি খননের মাধ্যমে ব্যাপক সংস্কার করা হয়। অতঃপর ২০১৩/২০১৪ সালে নদীটির নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য পুণঃখনন করা হয়। কিন্তু দিন দিন পানির স্বল্পতায় নদীর বুক চিরে শুষ্কতার সৃষ্টি হচ্ছে ফলে কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে সেচ ব্যবস্থায় নদীর উন্মুক্ত পানির পরিবর্তে দায় ঠেকে কৃষি কাজে ভূগর্ভের আয়রনযুক্ত ময়লা নাইট্রোজেনহীন ক্ষতিকর পানি ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে জমির উর্বরা শক্তি হৃাস পাওয়ায় অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করতে হয়। সকলের সামাজিক দায়িত্ব হলো যেকোনো প্রকার পানির উৎস সঠিকভাবে সচল রাখা। কিন্তু স্বার্থপর চিন্তা ভাবনার কারণে সামাজিক দায়িত্ব পালনে পিছপা হই। ঠাকুরপুর বাজারের উত্তর পাশের ইটভাটা প্রতিবছর পূর্ব দিকে সরানোর কারণে বারাসিয়া নদীর প্রায় ৭০/৮০ শতাংশ জায়গা ভাটায় গিলে খেয়েছে। বাকিটুকু সময়ের ব্যাপার। নদী সরকারি সম্পদ, এর সুফল ভোগ করে জনগণ। সরকারি সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের। এখানে প্রশাসনের সুদৃষ্টির প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : অ্যাডভোকেট কোরবান আলী
Copyright © 2025 Boalmari Barta. All rights reserved.