বোয়ালমারী প্রতিনিধি: রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্টের আওতায় ‘ইকোলোজিবান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকপ্লের উদ্যোগে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বান্দুগ্রামে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জৈব প্লান্টের উপর এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর কারিগরি সহযোগিতায় এবং সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি)- এর মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এসডিসি’র অডিট ও মনিটরিং শাখার উপ-পরিচালক খন্দকার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন বোয়ালমারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. তোরান মোল্যা, আরএমটিপি সরিষা প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মো. শাহিন আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী ভ্যালু চেইন ফেসিলেটেটর মো. আলামিন মন্ডল। এ সময় প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তা ও শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বোয়ালমারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ খান বলেন, জৈব সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে পরিবেশবান্ধব উপায়ে সবজি উৎপাদন করা যায়। ফলে খরচ কম হয় এবং আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়।
জৈব সার ব্যবহারের উপকারিতা ও সুবিধা সম্পর্কে আরএমটিপি সরিষা প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মো. শাহিন আলম বলেন, জৈব সার মাটিতে প্রয়োগের ফলে মাটি তার হারানো শক্তি ফিরে পায়। এছাড়া জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট সার বা কেঁচো সার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে জমির উর্বরতা বজায় থাকবে। ফলনও ভালো হবে।
জৈব সার উৎপাদনকারী উদ্যোক্তা মোঃ মজনু মোল্যা বলেন, তিনি প্রকল্পটির সহযোগিতায় জৈব সার তৈরির স্থাপনা করেন। উৎপাদিত সার নিজ জমিতে ব্যবহার করেন। এতে তার উৎপাদন খরচ কম হয় এবং ফসলের ফলনও বেশি হয়। এছাড়া নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে এলাকার কৃষকদের কাছে তিনি জৈব সার বিক্রি করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : অ্যাডভোকেট কোরবান আলী
Copyright © 2025 Boalmari Barta. All rights reserved.