বোয়ালমারী প্রতিনিধি: বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নে অবস্থিত ৯৩ নং বাহিরভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নেই দীর্ঘ তিন বছর। এই তিন বছর পুরাতন কমিটি দিয়েই চালানো হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি মাসে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মিটিং হওয়ারে কথা থাকলেও দীর্ঘ তিন বছর প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান কমিটির কোন সদস্যকে ডাকেন না। কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, মাসিক মিটিং ছাড়া বা কমিটি না থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় স্লিপের কাজ আসে কিভাবে? এ বিষয়ে কমিটি অভিভাবক সদস্য মোঃ মফিজুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাকে তিন বছর কোন মিটিং এ ডাকে নাই। আবার নতুন কমিটিও হয়নি। লোক মুখে শুনেছি আমরা এখনও কমিটির সদস্য আছি। কারন হাবিব মাস্টা আমাদের সময়কার সভাপতির স্বাক্ষরেই স্লিপের টাকা তোলেন। প্রধান শিক্ষক কি কারনে আমাকে মিটিংয়ে ডাকে নাই জানি না। অভিভাবক সদস্য মজিবর শেখকে কমিটি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, করোনার আগে মিটিং ডাকছিল তারপর হাবিব মাষ্টার তার মন মতো সব কিছু করে। তাকে কিছু বললে তিনি বলেন, সময় হলে ডাকবো। ২০২১ সালে একবার স্লিপের কাজের হিসাব চাইলে, তিনি অনেক গড়মিলে হিসাব দেন। ওই মিটিং যেন তেন ভাবে শেষ করে পরবর্তিতে হিসাব দিবে বললেও আর আমাদের ডাকেন নাই। বিদ্যুৎসাহি সদস্য কবির শেখ বলেন, আমি কমিটির সদস্য হওয়ার পর করোনা আসলো। করোনার দোহায় দিয়ে মিটিং ডাকে নাই। করোনা শেষ হওয়ার পরে আমাকে ডাকছে বলে মনে পড়ে না। মহিলা বিদ্যুৎসাহি রোমানা ইসলাম বলেন, আমাকে মিটিংয়ে শেষ কবে ডাকছে মনে নেই। শেষবার যখন ক্রীড়ানুষ্ঠান হয়েছিল তখন ছাড়া আমাকে আর ডাকে নাই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক সদস্য বলেন, আপনি মিটিং ডাকেন না কেন? সদস্যদের স্বাক্ষরিত রেজুলেশন খাতা কই? প্রশ্নের জবাবে হাবিব মাস্টার বলেন, আমি টিও অফিসের অনুমতি ক্রমেই সব করি। আমার সব কিছুর উত্তর টিও অফিস দিবে। উল্লেখ্য যে প্রতিবছর ১২ মাসের ১২ টা মিটিং এর খাতা টিও অফিসে দেখানো লাগে। এই তিন চার বছরে এসব রেজুলেশন খাতাই স্বাক্ষর কে বা কারা করেছে? বেশির ভাগ তিন বছর বা চার বছর যেখানে কমিটির কোন সদস্যকে মিটিং এ ডাকে নাই। তাহলে স্বাক্ষর গুলি কে বা কারা করেছে সেটা দেখার বিষয়।উল্লেখ্য যে ২০১৭ সালের পরে স্কুলটিতে কোন বার্ষক ক্রিয়াঅনুষ্ঠান হয়নি। এ কারনে সকল ছাত্রছাত্রিদের মধ্যে যেমন অভিমান জমায়িত হয়েছে অভিভাবকরাও চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অভিভাবকরা হাবিবুর রহমানের অপসারন দাবি করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : অ্যাডভোকেট কোরবান আলী
Copyright © 2025 Boalmari Barta. All rights reserved.