বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালে অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এক যুবক। আহত যুবকের নাম মো. আকাশ শরীফ (২০)। সে স্বামী পরিত্যক্তা মায়ের সাথে পৌরসভার ছোলনা গ্রামে মামা বাড়িতে থাকে। গত ২২ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটার দিকে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কুশাডাঙ্গা গ্রামের মুন্নু মোল্যার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরও ৫/৬ কে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আহত কিশোরের মামা মো. হারুন শেখ। অভিযুক্তরা হলেন - পৌরসভার ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা মো. সিদ্দিক মোল্যার ছেলে মো. আমীর আলী (৪৮) তার ছেলে মো. অনিক মোল্যা (২২) একই গ্রামের হাফিজুরের ছেলে মো. শান্ত (২৩) মো. মতিয়ার রহমানের ছেলে মো. নাসির (২৬), নাগর সিকদারের ছেলে মো. পিয়াস সিকদার (২০) সিদ্দিক মোল্যার ছেলে জামিল মোল্যা (৩৫) ও কুশাডাঙ্গা গ্রামের মো. মিলুর ছেলে মো. তারেক (২০)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ /৬ জন। এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস পুর্বে পৌর আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে খাবার নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অভিযুক্তদের কয়েকজন, এসময় আহত আকাশ প্রতিবাদ করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারিরা তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এছাড়াও আহত আকাশের মামাদের সাথে প্রতিপক্ষের গ্রাম্য আধিপত্য ও জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ও বিরোধ রয়েছে। ঘটনার দিন আকাশকে ঘটনাস্থলে একা পেয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। হামলাকারীরা আহত আকাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও মুখমণ্ডল লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রে দিয়ে আঘাত করে। তার মাথা ও মুখমণ্ডল একাধিক গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম পাশের চোখ বিনষ্ট হয়ে গেছে। তাদের আঘাতে আহত আকাশ মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা তার শরীরের নানাস্থানে লোহার রড, হাতুড়ি, লোহাড় পাইব, বাটাম, বেত ও বাঁশের লাঠ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এসময় হামলাকারীরা আকাশের গলায় থাকা প্রায় ষাট হাজার টাকা দামের একটি স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় মোঃ ইসমাইল নামের একজন প্রতিবেশী হামলাকারীদের নিবৃত করতে চাইলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে তারা। হামলার খবর পেয়ে বাদি স্থানীয়দের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা আহত আকাশকে ফেলে চলে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় আকাশকে উদ্ধার করে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক । বর্তমানে আকাশ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে নিবিড় পর্যবেক্ষনে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন - ঘটনার তিনদিন পর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জামির নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : অ্যাডভোকেট কোরবান আলী
Copyright © 2025 Boalmari Barta. All rights reserved.