বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর সারাদেশের অনেকেই অনেকভাবে পরিবর্তন হলেও বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি চতুল ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি সঞ্চয় শীল। সঞ্জয় শীলের বিরুদ্ধে বিগত দিনের ও বর্তমানের নানাবিধ অপকর্মের ফিরিস্থি তুলে ধরে ভুক্তভোগীরা। ২১ মে ভিডিও বার্তায় হাসামদিয়া সীতলা মন্দিরের সেক্রেটারী নিরাপদ সাহা বলেন, কিছুদিন আগে মন্দিরের উন্নয়নের স্বার্থে মন্দির সংশ্লিষ্ট সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ছোট সাইজের ৮টি মেহগুনি গাছ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা আমার কাছে রেখেছি। এই বিষয়টি নিয়ে সঞ্জয় শীল ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাধানোর অভিপ্রায়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিগত দিনে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের নামে প্রায় অর্ধশত অভিযোগ দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে। তার দলের পদপদবী ব্যবহার করে এলাকার সম্মানী ব্যক্তিদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। এ ব্যাপারে চতুল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহ্ মো. কামরুল ইসলাম উজ্জল বলেন, আমি বিরোধীদলের লোক হওয়ায় বিগতদিনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করেছে। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার শামীম বলেন, সঞ্জয় শীল আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর। সে বিগতদিনে থানাপুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে মাদক ব্যবসা করেছে। আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো সে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশি হয়রানি করেছে। আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে সঞ্জয় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়েছে। আওয়ামীলীগের দোসর সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাই। সঞ্জয় শীলের বড় ভাই সুশান্ত শীল বলেন, সঞ্জয় শীলের অপকর্মের জন্য ইতোপূর্বে ৪ জায়গায় বসবাসের স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। এখানে এসেও তার স্বভাবের কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় আমরা এলাকাবাসীর কাছে নানাভাবে অপমানিত হচ্ছি। সঞ্জয়ের ছোট ভাই বিষ্ণু শীল বলেন, সঞ্জয় আওয়ামীলীগের আমলে বিভিন্ন প্রকার অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সঞ্জয় এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। পালিয়ে থেকে এলাকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে এখনও সে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এসব বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাই।
প্রকাশক ও সম্পাদক : অ্যাডভোকেট কোরবান আলী
Copyright © 2025 Boalmari Barta. All rights reserved.