
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা রূপাপাত ইউনিয়নের কালিনগর রূপাপাত বাজারে পাকা রাস্তার সড়কের জায়গা ও ৯ নং রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় বেআইনি ভাবে দখল করে পাকা ভবন সহ দোকানপাট তৈরি করছেন নুরুল ইসলাম মোনা মিয়া। মোনা মিয়া কালিনগর গ্রামের বাসিন্দা।
গত ২৪ অক্টোবর সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, রুপাপাত মৌজার ৩ নং খতিয়ানের ১০০২ নং দাগের শ্রেণী রাস্তার রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের নামে ৯২ শতক জমি রেকর্ড। ওই জমির ১ শতক জমি দখল করে গত ১৮ অক্টোবর পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন নুরুল ইসলাম মোনা মিয়া। রাস্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের জমিতে কাজ করার খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিব্বির আহমেদ রুপাপাত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। মো. সিরাজুল ইসলাম কাজ বন্ধ করে দেন। ওই এক শতক জমির বর্তমান বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা।
মোনা মিয়া দিনের বেলায় কাজ বন্ধ রাখে রাতে শ্রমিক দিয়ে কাজ করান। এসিল্যান্ডের নির্দেশ মানছেন না।
এ ব্যাপারে মোনা মিয়া বলেন, আমার জমির মাথায় তাই কিছু সরকারী জমি জুড়ে কাজ করছি। এসিল্যান্ড ও তহশীলদার নিষেধ করার পরও রাতের আধাঁরে কাজ করছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
রুপাপাত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম শুক্রবার বলেন, এসিল্যান্ড স্যার আমাকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলে আমি কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে রাতে কাজ করছে। রাতে কাজ করছে বিষয়টি এসিল্যান্ড স্যারকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন যে সরকারী ১ শতক জমি দখল করে কাজ করছে সে জমির বর্তমান বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা হবে। ওই জমির শ্রেণী রাস্তা যা বন্দোবস্ত নেওয়ার সুযোগ নেই।
রূপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মোল্যা বলেন, সরকারি জায়গায় দোকান ঘর তুলতে বারবার নিষেধ করলেও নিষেধ শুনছে না।
বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিব্বির আহমেদ বলেন, রাস্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণের খবর পেয়ে তহশীলদারকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ বন্ধও করে দিয়েছি। রাতের আধাঁরে কাজ করছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, তহশীলদারকে পুনরায় আবারও কাজ বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, সরকারী জায়গায় যে পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ হচ্ছে তা ভেঙে দেওয়া হবে।