
জাকির হোসেন, বোয়ালমারীঃ ফরিদপুর-১ আসনে সংখ্যালঘু ভোটারদের নির্বাচন মুখি করতে ব্যাপক তোড়জোড় চলছে স্থানীয় বি এন পিতে। বিশেষ করে এ আসনে বি এন পির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় শীর্ষে থাকা সাবেক সাংসদ,কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম যেন কোন ভাবেই পিঁছু ছাড়ছেননা তাদের। যে কোন মূল্যে বিশেষ করে হিন্দু সমাজের মন জয় করতে মরিয়া তিনি। সে লক্ষে ছোট-বড় বিভিন্ন উৎসব পূজা-পার্বনে সম্পৃক্ত হওয়া ছাড়াও যেখানে হিন্দুর বিপদ-আপদ বা সমস্যা সেখানেই ত্রাতা হয়ে ঝাপিয়ে পড়ছেন নাসিরুল ইসলাম। তার সেবাধর্মী বিচিত্র কর্মতৎপরতার কারণে ইতিমধ্যেই হিন্দু মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। দল নিরেপক্ষ বা আওয়ামী ঘরানার অসংখ্য হিন্দু পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন খন্দকার নাসিরের ছায়াতলে। বিষয়টি আলোচনার খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনেও। অনুসন্ধানে জানাযায়,বোয়ালমারী,আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর- ১ আসন। তিনটি উপজেলাতেই বিপুল সংখ্যাক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা আর ধানের শিষের প্রার্থীদের জয় পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই সংখ্যালঘু ভোট। যে দিকে হিন্দু ভোট সেদিকেই জয়ের পাল্লা ভাড়ী। যে কারণে বরাবরই ফরিদপুর-১ আসনটি থেকেছে আওয়ামী লীগের দখলে । এ জনপদ তাই পরিচিতি পেয়েছে আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে। কিন্তু এবারের মাঠের চিত্র ভিন্ন। ভোটের হিসাব-নিকাশটাও একটু আলাদা। আওয়ামী দূর্গে এবার ধ্বসের ঝনঝনানি। জয়-পরাজয় যেদিকেই যাক এ আসন যে আর আওয়ামী লীগের থাকছেনা তাতে কোন সন্দেহ নেই। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে-আওয়ালীগ বিহীন নির্বাচনে ভোটের মাঠে মুখোমুখি হচ্ছে দুই পুরোনো মিত্র বি এন পি ও জামায়াতে ইসলামী। এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ শুধু ভোট বর্জন করেই বসে থাকবেনা ভোট কেন্দ্র ফাঁকা দেখানোর চেষ্টায়ও মরিয়া থাকবেন তারা। কাজেই কাংখিত মানে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে ভোটে অংশ গ্রহণকারী দল গুলোর।আর সেই হিসাব-নিকাশ মাথায় রেখেই এবার হিন্দু ভোট কাছে টানার চেষ্টা করছেন বি এন পির সম্ভাব্য প্রার্থী খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। আওয়ামীলীগের শুন্যতা পূরোন বা শুধু ভোটার উপস্থিতির স্বার্থেই নয় সংখ্যালঘু ভোট পক্ষে নিয়ে নিজের বিজয়ও নিশ্চিত করার পথ তৈরি করছেন তিনি। তাছাড়া ভোট কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি বৈশ্বিক রাজনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে বলে বিশ্বাস করেন এই প্রভাবশালী নেতা। এক প্রশ্নের জবাবে বোয়ালমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি,স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বাবু সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন,হিন্দু মানেই আওয়ামীলীগ-এমন একটা বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে আমাদের সমাজে। কিন্তু আমরা সেই এক কেন্দ্রীক ধারণার মূলতপাটন করতে চাই। হিন্দু সমাজকে নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ আর আওয়ামীলীগকে দেওয়া হবেনা। ফরিদপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা ফেরানোর যুদ্ধে নেমেছেন আমাদের নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। এ যুদ্ধে তিনি সফল হবেন। এ লক্ষে নাসিরুল ইসলাম দিন-রাত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে কাজ করছেন। তাদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার এখন তিনি। সনাতনীদের নিরাপদ আশ্রয়ের নাম নাসিরুল ইসলাম। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১ আসনে শত ভাগ হিন্দুই ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং তারা ভোট দিয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে জয়যুক্ত করবেন। কানাই লাল বিশ্বাস,বুলু সিকদার,হরিপদ রায়,বিজয় কান্তি বালা,কৃষ্ণ পদ সাহা সহ আরো একাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী বলেন,ফরিদপুর-১ আসনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক বলয়ের দৃশ্যপট বদলে গেছে। তারা এখন অনেক সচেতন। আওয়ামীলীগের কথায় ওঠা-বসা করার দিন শেষ। খন্দকার নাসির ভাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কে আমাদের বন্ধু আর কে শত্রু। হিন্দু সমাজে এখন আস্থা,ভালোবাসার এক নেতৃত্বের নাম নাসিরুল ইসলাম। তিনি আমাদের পাশে আছেন ছায়ারমত আমরাও তার পাশে থাকব সারাক্ষণ। বোয়ালমারী উপজেলা বি এন পির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন,ফরিদপুর-১ আসনে সনাতনী রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের একছত্র আধিপত্যের দিন শেষ। আওয়ামীলীগের সংখ্যালঘু ব্যবসা এখন বন্ধ। এই জনপদে বি এন পির একমাত্র কান্ডারী খন্দকার নাসিরুল ইসলাম হিন্দু হৃদয়ে জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করছেন। তার ভালোবাসা,মহানুভবতায় অসংখ্য হিন্দু পরিবার বি এন পির ছায়াতলে আসতে শুরু করেছে। আগস্ট বিপ্লবের পর এলাকার হিন্দু সমাজ কিছুটা অসহায় বোধ করছিলেন। ভীতি,উৎকন্ঠার মধ্যে ছিলেন। এ অবস্থায় শক্ত হাতে তাদের পাশে দাড়ান খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। হিন্দু স্বার্থে এক কাঠিও ছাড় দিচ্ছেননা তিনি। এ ঘটনা হিন্দু সমাজকে ব্যাপক ভাবে নাড়া দিয়েছে। তারা শত্রু-মিত্র চিনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই আগামীতে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সুদৃঢ় নেতৃত্বে ফরিদপুর ১ আসন হয়ে উঠবে জাতীয়তাবাদের ঘাঁটি। এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন,এদেশের হিন্দু সমাজকে নিয়ে আওয়ামীলীগ এতদিন রাজনৈতিক ব্যবসা করে আসছে। এখন আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। তারা হিন্দুর কাছ থেকে শুধু নিয়েছেই বিপরীতে কিছুই দেয়নি। এদেশে হিন্দুর আসল বন্ধু কে আমি সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে তারা অনেকটা বুঝেও গেছেন। সেবা-শুশ্রূষা,ভালোবাসা দিয়েই প্রমাণ করার চেষ্টা করছি বাংলায় আওয়ামীলীগ নয় বি এন পিই হিন্দুর আসল বন্ধু।