
মনে পড়ে? দুর্দান্ত প্রতাপশালী ক্ষমতাধর হাসিনা সিংহাসনে সমাসীন। মনে হচ্ছিল ক্ষমতা আর হাসিনা একটি সমার্থক শব্দ। নুন্যতম কোনো রাষ্ট্রীয় বা দলীয় কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়ার ক্ষমতা অন্য কারো নেই।
সংসদ নির্বাচন -২০১৮, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রবল পরাক্রমশালী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন, তখনও তারমতো একজন এরকম চরিত্রের পক্ষে সম্ভব হয় নাই ফরিদপুর -১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা,
চরম দোদুল্যমান অবস্থা, শ্যাম রাখি না কূল রাখি? কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সব মিলে বাঘা ও অবাঘা প্রায় ২০/২৫ জন প্রার্থী। অবস্থা এমন যেন ‘ বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মোদিনী।শুরু হলো কেন্দ্রের বিশেষ কমিটির এমন প্রার্থী খোঁজ, যেন সাপও মরে লাঠিও না ভাংগে। ফেসবুকে তখন তুমুল যুদ্ধ কে হচ্ছেন ঘোষিত প্রার্থী। আব্দুর রহমান, লিয়াকত সিকদার, আরিফুর রহমান দোলন, হোমিও ডা. দিলিপ রায় সবাই কেন্দ্রীয় নেতা, স্থানীয় ভাবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুসা ভাই সহ আরো অনেক,,,,,,,, যুদ্ধের মাঠ গরম করে রেখেছেন।
আপনাদের মনে আছে কি না, তখন আমি বিশেষ সূত্রে সূত্রিত হইয়া গান গাইলাম ‘ বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুল শাখাতে দিস নে আজি দোল’;
প্রয়াত বুলবুল সাহেব( সাবেক সিনিয়র সচিব) পেলেন শেষ মুহুর্তে নমিনেশন; এটি ছিল মুসা ভাইয়ের জন্য শান্তনা পুরস্কার, কেননা মুসা ভাইয়ের বন্ধু মানুষ বুলবুল সাহেব।
বুলবুল সাহেব যে কারনে নমিনেশন পেয়েছিলেন, তার একটি কারন ছিল শেখ হাসিনা সকলের প্রতি সংক্ষুব্ধ আর অন্য কারনটি ছিল বুলবুল সাহেবের বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন বাহিনীর আত্মিয় সম্পর্ক আর স্পেশালি তার সংগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল জানা পরিচয়।
এবার আসল কথায় আসি; উপরের লেখাগুলো পড়ে কি আপনার মনে হচ্ছে ফরিদপুর -১ আসনে বিএনপির প্রার্থী সিলেকশন এত সহজ হবে। অথবা কোনো প্রার্থী ঘোষণার পর বাকিরা শান্ত/ সুবোধ থাকবেন। না, অন্তত ৪/৫ জন না হলেও ২ জন কে স্বতন্ত্র পাবেন বিভিন্ন ভাবে ।
মোট ভোট হবে ৪/৫ ভাগ। সবাই প্রস্তুত থাকেন। ,,,,,, মহাখেলা দেখার জন্য।
ও আর একটা কথা বলে রাখি; সেটা হল, বিএনপি যদি সারা দেশে ২৫০ আসনেও জিতে, তারপরও কি বিএনপি ফরিদপুর -১ আসন কে ঐ ২৫০ আসনের মধ্য গোনে? না, মোটেও না।
তারপরও ফরিদপুর -১ আসনের বিএনপি’ র নেতৃবৃন্দের, জনাব তারেক রহমান সাহেবের সেই বিশেষ উক্তি ‘ এবারের নির্বাচন এত সহজ হবে না’ এটা কি মনে রাখা উচিত নয়?