বোয়ালমারী প্রতিনিধি : বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য ওই ইউনিয়নের আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেরাই হলেন চেয়ারম্যান পদে দলীয় ড্যামি মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইউনিয়ন আ’লীগের বর্ধিত সভা না করেই গোপনে নিজেদের নামসহ তিনজনের নাম উপজেলা আ’লীগের নিকট পাঠিয়েছে ওই ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এতে বর্তমান চেয়ারম্যানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিরা দলীয় মনোনয়ন ক্রয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এমনই অভিযোগ করেছেন মো. ইকবাল হোসেন নামের এক মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তিন জনের সংক্ষিপ্ত নামের তালিকা পাঠিয়েছেন উপজেলা আ’লীগের নিকট। উপজেলা আওয়ামীলীগ ওই তিনজনের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নে। আ’লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগকারী মো. ইকবাল হোসেন জাতীয় শ্রমিকলীগের আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের মো. ইকবাল হোসেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলের নীতি আদর্শের প্রতি অনুগত থেকে দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে তার পরিবার সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে। ইকবাল হোসেনের বড় ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এম জালাল উদ্দিন আহমেদ জেলা আ’লীগের বর্তমান কমিটির শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। এর আগে তিনি বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় ভোটের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ হওয়ার কারণে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের নাম অন্তর্ভুক্ত না করে নিজেদের নামসহ তিনজনের নামের তালিকা উপজেলা কমিটির নিকট পাঠান। অভিযোগকারী মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ইউনিয়ন আ’লীগ বর্ধিত সভা না করেই মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন জনের নাম উপজেলা কমিটির নিকট পাঠান। তিনজনের দুইজন হলেন পাঁচুড়িয়া ইউপি আ’লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহনেওয়াজ রিপন সিকদার। অপরজন বর্তমান চেয়ারম্যান মিজান সরদার। তিনি আরো বলেন বর্তমান চেয়ারম্যানের আ’লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্যই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের ড্যামি মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান মিজান সরদার উপজেলার চরনারানদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, আর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহনেওয়াজ রিপন সিকদার ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ব্যাপারে পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছ থেকে যারা মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন, তাদের সবার নামই উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহনেওয়াজ রিপন সিকদার এক সময় ছাত্রদল করতেন। তিনি কিভাবে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেন তা উপজেলা আওয়ামীলীগ ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলার আ’লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন বলেন, আমরা ইউনিয়ন কমিটিকে বলেছি সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীর নামের তালিকা উপজেলা কমিটির নিকট পাঠাতে। ইউনিয়ন কমিটি নামের তালিকা আমাদের নিকট এখনো জমা দেয়নি।