
স্টাফ রিপোর্টার: বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম কামাল মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। ( ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে’ঊন)।
রবিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে আটটার দিকে শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি ৪ কন্যা ও স্ত্রী রেখে গেছেন। ওইদিন বিকেলে ছোলনা গোরস্থানে অনুষ্ঠিত মরহুমের জানাজায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ শাহ্ মো. আবু জাফর, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, ফরিদপুর- ১ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ভিপি সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আফসার উদ্দিন, সাবেক মেয়র আব্দুর শুকুর শেখ, বাবলু মিয়া, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মিনাজুর রহমান লিপন, সাবেক কাউন্সিলর শেখ আজিজুল হক প্রমুখ।
খন্দকার রফিকুল ইসলাম কামাল আরবিয়ান বংশদ্ভূত সম্ভ্রান্ত গঞ্জেরাজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন।
তাঁর রয়েছে একদিকে পারিবারিক ঐতিহ্য অন্য দিকে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। খন্দকার কামাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বোয়ালমারী উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও সম্প্রতি ঘোষিত উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ছিলেন।
তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুর রহমান ও খন্দকার রফিকুল ইসলাম কামাল একই বংশের লোক।
১২০০খ্রিস্টাব্দ বা তার আগে ইসলাম প্রচারে ইরাকের বাগদাদ থেকে ফরিদপুর আসেন বিশিষ্ট ইসলাম প্রচারক শাহ আব্দুর রহমান গঞ্জেরাজ (রহ) ও তার ভাগ্নে আব্দুর রহমান দানেশমন্দি (রহ)।
আব্দুর রহমান গঞ্জেরাজ (রহ) ফরিদপুর সদরের খাবাসপুরে বসতি স্থাপন করেন। এই গঞ্জেরাজ পরিবারই পরে খন্দকার পরিবার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
খন্দকার রফিকুল ইসলাম কামাল এর পিতা খন্দকার সিরাজুল ইসলাম ছোলনার ভূস্বামী শমসের মিয়ার কন্যার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বোয়ালমারীতে শ্বশুরালয়ে বসতি গড়েন। তাঁর দাদা খন্দকার আব্দুস সামাদও বৈবাহিক সূত্রে ঘোষপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়ায় বসতি স্থাপন করেন।
অপর দিকে শাহ আব্দুর রহমান গঞ্জেরাজ (রহ) এর ভাগ্নে আব্দুর রহমান দানেশমন্দি (রহ) নগরকান্দা লস্কারদিয়ায় বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচার করেন। ওবায়দুর রহমান দানেশমন্দি (রহ) বংশধর।
Leave a Reply