গত ২৩ জুন ছিল বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলন। তৃণমুল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি করার উদ্দেশ্য এই সম্মেলন। পুলিশি বাধা ও খন্দকার নাসির সমর্থিত অতিউৎসাহিত কিছু লোকজনের কারণে সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, পুলিশ আগেভাগেই ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ দিনের একদিন আগে বা পরে সম্মেলনের কথা জানিয়েছিলেন নেতাদের। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল অন্যদিকে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এ ত্রিমুখী সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসন। তথাপি বিএনপির একপক্ষ শক্ত অবস্থানে থেকে তারা সম্মেলনের চিন্তা ভাবনা করেন। সম্মেলনের শুরু থেকেই শাহ মো. আবু জাফর পন্থীদের দাবি ছিল, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই নতুন কমিটি দেয়া হোক। খন্দকার নাসির সমর্থিতদের দাবি ছিল, উর্ধ্বতন নেতাদের হস্তক্ষেপ ও তাদের মধ্যস্থতায় নতুন কমিটি দেয়া হোক। এক পর্যায়ে দেখা যায়, তৃণমুল নেতাকর্মীদের জোরালো চাপের মুখে পড়েন আগত অতিথিরা। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি দিলে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবীসহ অধিকাংশই চলে যাবে শাহ্ মো. আবু জাফরের বলয়ে। এ পরিস্থিতিতে অনেকটা সুকৌশলে অনুষ্ঠান বন্ধের পায়তারা করে খন্দকার নাসির অনুসারীরা। অতি উৎসাহী হয়ে তারাই আগ বাড়িয়ে পুলিশের সাথে হট্টগোলে লিপ্ত হয়। পুলিশ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তারাও পাল্টা অ্যাকশানে যায়। অতঃপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় সম্মেলন। এরপরও যদি তৃণমুলের মতামতকে উপেক্ষা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো কমিটি চাপিয়ে দেয় তাহলে দলের বিভেদ চরম আকার ধারণ করবে। লাভবান হবে প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ।
Leave a Reply