বোয়ালমারী প্রতিনিধি: সুমন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস (ডাক্তারী) পাস করেছে এবং ইন্টার্নশিপ শেষ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজেই অস্থায়ী ভাবে চাকরি পেয়েছে (২০১৬-২০২১)। অত্যন্ত মেধাবী সুমন ৫ম এবং ৮ম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। বোয়ালমারী জর্জ একাডেমি থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ ৫। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে আইএসসি-তেও গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসিষ্টে মেধা তালিকায় ৫৭তম স্থানে চান্স পেয়েছিল। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়ে সেখানেই ভর্তি হয় সুমন। স্কুলজীবন থেকেই সুমন অত্যন্ত ভদ্র, স্বল্পভাষী, মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থী। দীর্ঘ ৬ বছরের অধ্যবসায়, অক্লান্ত পরিশ্রম ও ধৈর্য্য, ইন্টার্নশিপ এ করোনাকালীন ঝুকিপূর্ণ অতিরিক্ত ডিউটি, করোনা বিশেষায়িত ইউনিটে দিনরাত দ্বায়িত্ব পালন করা, কোন কিছুই তাকে লক্ষ্যে অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলত সে সফলভাবে ডাক্তারী পাস করেছে এবং বিশেষ ব্যবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজেই চাকরির সুযোগ পেয়েছে। ডাক্তার সুমনের আগামী দিনের লক্ষ্য একজন সফল চিকিৎসক হয়ে দেশের দুস্থ অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করা। সুমন বোয়ালমারীবাসীর গর্ব। সুমন আগামীতে বিসিএস ও ৫ বছরের সার্জন ও মেডিসিন ফেলোশিপ বা এফসিপিএস এসের পরীক্ষার জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন। সুমনের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম সজল কৃতিত্বের সাথে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (কম্পিউটার) পাস করে বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করছে। সজল ও সুমনের বাবা বোয়ালমারী পৌরসভার রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী আবু হাসান ও মা মিসেস রোকশানা পারভীন (শান্তনা) আল-হাসান মহিলা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষিকা। তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
Leave a Reply