বোয়ালমারী প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের চিতার বাজারে রাতের আধারে একটি দোকানঘর দখল করে মালামাল লুট ও তদস্থলে নতুন পাকা স্থাপনা গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাজিতপুর গ্রামের আমিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন একই গ্রামের মোঃ সালিমুল হক। গত ১৪ নভেম্বর এই দখলের ঘটনা ঘটে। আদালত বিতর্কিত জায়গাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের চিতারবাজার সংলগ্ন মোবারক দিয়া মৌজার ৩৮৬ নং দাগের ২৯ শতক জমির মূল মালিক মোঃ সিরাজুল হক গং। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সেই জমির একাংশে অর্ধশতাংশ জায়গার উপর টিনশেড দোকান ঘর তুলে দীর্ঘ দিন ভোগদখল করে আসছিলেন সিরাজুল হকের পুত্র সালিমুল হক। পেশাগত কারনে তিনি ঢাকাতে অবস্থান করায় ভাড়াটিয়ার অপেক্ষায় দোকান ঘরটি তালাবদ্ধ ছিলো। পাশাপাশি এর মালিকানা নিয়েও বিতর্ক চলছিল প্রতিপক্ষ আমিন বিশ্বাসের সঙ্গে। এ প্রেক্ষিতে ভূমি বিক্রয় ও বন্টক নীতিমালার ধারায় দুটি মামলাও বিরাজমান রয়েছে আদালতে। কিন্তু কোন বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে গত ১৪ নভেম্বর রাতের আধারে তালা ভেঙ্গে দোকান ঘরটি দখল করে নেন আমিন বিশ্বাস। লুটে নেন দোকানের ভিতরের অবকাঠামোসহ অন্যান্য মালামাল। একই সঙ্গে পরের দিন ভোরবেলা থেকে শুরু করেন নতুন পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ। উপায়-অন্তর না পেয়ে সালিমুল হক আদালতের শরণাপন্ন হন। ১৬ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত জায়গাটির উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। ১৮ নভেম্বর বোয়ালমারী থানা পুলিশ সরেজমিন পরিদর্শন করে আদালতের নির্দেশনা কার্যকর করেন। ভুক্তভোগী সালিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন,পৈতৃক সূত্রে তিনি জায়গাটির মালিক। তার স্থাপন করা দোকান ঘরটিও অনেক পূরনো। মালিকানার দ্বন্দ্বে আদালতে দুটি মামলাও চলমান রয়েছে । এ অবস্থায় গায়ের জোরে রাতের আধারে তার দোকান দখল করে নিয়েছে আমিন বিশ্বাস। সালিমুল আরো বলেন, ৩৮৬ দাগে আমিন বিশ্বাস ৬.১০ শতক জমি কিনেছেন যা তিনি দাগের উত্তর পাশ দিয়ে ভোগদখলে আছেন। তা সত্বেও আমিন অন্যায় ভাবে আমার জায়গা দখল করেছেন। এ অন্যায়ের বিচার চান সালিমুল হক। অভিযুক্ত আমিন বিশ্বাস বলেন, ক্রয়সূত্রে তিনি জমির মালিক। সেখানে দোকান তুলে জমিটি দখলে রেখেছেন সালিমুল। চিতার বাজার বণিক সমিতির সভাপতি এম,এ মাজেদ বলেন, জায়গাটির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক অনেক পূরনো। তবে সেটি সালিমুলের দখলে ছিলো। পরে তিন পক্ষ (সালিমুল,আমিন ও বাজার কমিটি) থেকে তিনটি তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। সেই তালা ভেঙে আমিনের দোকান দখলের সত্যতা স্বীকার করেন এম, এ মাজেদ।
Leave a Reply