স্টাফ রির্পোটার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ এপ্রিল এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ মো. খোরশেদুল আলম।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ক্ষতিসাধনে উঠেপড়ে লেগেছে একটি কুচক্রী মহল। ২০১৬ সালে সরকারিকরণ হওয়ার পর থেকেই মহলটি কলেজের বিভিন্নভাবে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই থেকে অদ্যাবধি ওই কুচক্রী মহলের অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। কলেজের বিভিন্ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা তিলকে তাল বানিয়ে নানাভাবে অপপ্রচার করছে। কোনোভাবেই কলেজের কোনো ভালো কর্মকান্ড মেনে নিতে পারছে না ওই মহলটি। কলেজের কতিপয় শিক্ষকদেরকেও নানাভাবে হয়রানি ও ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি করার পায়তারা করছেন তারা। এখনও তাদের এসব নিন্দনীয় কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। এমনকি তারা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে কলেজের অধ্যক্ষ মো. খোরশেদুল আলম এর অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে কল করে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবী করেন এবং হুমকি ধামকি দেন। চাঁদা দাবির অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ মো. খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল দুপুর ১টায় কলেজটির অধ্যক্ষ মো. খোরশেদুল আলম এর ব্যবহৃত অফিসিয়াল মোবাইল (০১৩০৯-১০৮৬১৮) নম্বরে জনৈক ব্যক্তি ০১৯০৫-৮২১৯৪৭ নম্বর থেকে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ঢাকা অফিসের চিফ এডিটর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন হুমকি দেয় এবং ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবি করেন। একই দিন একই মোবাইল নম্বর থেকে ১:১৮ মিনিট, ১:১৯ মিনিট, ১:২৩ মিনিট ও ১:২৪ মিনিটে কল দিয়ে আবারও চাঁদার টাকা দাবী করা হয়।
একই দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন শাহেদুল খবীর পরিচয়ে ০১৭৫৬-০১৫৭১৬ নম্বর থেকে অধ্যক্ষের অফিসিয়াল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরবর্তীতে চাঁদা দাবির বিষয়টি অধ্যক্ষ সহকর্মী শিক্ষদের সাথে আলোচনা করে উল্লেখিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে উল্লেখিত নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
এছাড়া কলেজ চত্বরে শেখ রাসেল নামে একটি মঞ্চ রয়েছে। ওই মঞ্চে কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চের সামনেই দুটি ছোট গাছ থাকায় মঞ্চে অনুষ্ঠানাদি পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটে। সে কারণে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্মতিতে রেজুলেশন অনুযায়ী গাছ দুটি অপসারণ করা হয়। অপসারণকৃত গাছের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। তবুও ওই কুচক্রী মহলটি গাছ অপসারণের বিষয়টি নিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে নানাভাবে অপপ্রচার করে কলেজটির সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ জানান, চাঁদা দাবির ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। জড়িতদের শনাক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply