বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারপিট ও গুরুতর হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামে। এ ঘটনায় আহত আব্দুল ওহাব শেখ বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মো. আলমগীর শেখ ও আব্দুল ওহাব শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আব্দুল ওহাব শেখ তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে তারা শেখের বাড়ির সামনে পৌছালে পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা আলমগীর শেখের দলভুক্ত ২০/২৫ সন্ত্রাসী প্রকৃতি লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে ঘেরাও করে। এ সময় তারা শেখের হুকুমে জাহাঙ্গীর শেখ, আলমগীর শেখ, লেন্টু শেখ, মিলন সরদার, বাবু শেখ, হায়দার শেখ, জব্বার শেখ, মিজানুর রহমান সুরুজ, মোতাচ্ছের শেখ, আতিয়ার গং তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছ্যানদা, লোহার রড, হাতুড়ি, চাইনিজ কুড়াল, বাশের লাঠি দিয়ে আব্দুল ওহাবকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। মারামারি ঠেকানোর জন্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নজরুল মিয়া, আতিয়ার মিয়া, রাকিব শেখ, পিকুল শেখ ও মুন্নু মিয়া এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকেও কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম করে। শোরচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় আব্দুল ওহাব শেখ, মো. আতিয়ার শেখ ও সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় আব্দুল ওহাব শেখ বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২২।
Leave a Reply