বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি সরকারি কাঁচা রাস্তা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দু’পাশ দখল করে নিয়েছে রাস্তার পার্শ্ববর্তী জমির মালিকেরা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও পথচারী।
জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের প্রেমতারা গ্রামের গণি শেখের বাড়ি থেকে হোসেন শেখের বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক ৪শ ফুট লম্বা ও ২২ ফুট চওড়া সরকারি কাঁচা রাস্তার বেশিরভাগই দখল করে নিয়েছে পাশ্ববর্তী জমির মালিকেরা। এতে প্রেমতারা ও কেরশাইল গ্রামের স্কুলগামী কয়েকশত শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।
৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মুন্সি, মো. তোফাজ্জেল শেখ, নিজাম শেখ, সবুজ শেখ, হোসেন মোল্যা, মনছুর শেখ ও ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ মো. সজিব অভিযোগ করে বলেন, ইতোপূর্বে সাতৈর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, ইউপি সদস্য ইসমাইল মেম্বারসহ স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে সরকারি রাস্তাটির সিমানা নির্ধারণ করে দিয়ে যান। তখন রাস্তাটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য ছিল ৪শ ফুট এবং প্রস্থ পশ্চিমে ৩২ ফুট ও পূর্বে ২২ ফুট। কিছুদিন পর পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা যে যার মতো করে রাস্তাটির দখল নিতে শুরু করেন। এখন রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ঠিক থাকলেও প্রস্থ ৫ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। একটি ভ্যানগাড়ি নিয়েও চলাচল করা কষ্টসাধ্য। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি সরকারি রাস্তাটি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি কাঁচা রাস্তার পাশ্ববর্তী জমির মালিক মৃত হাসেন শেখের ছেলে ছানাউল্লাহ সরকারি রাস্তার জমিতেই নির্মাণ করেছেন বাথরুম ও রান্নাঘর। ইবাদত শেখের স্ত্রী কোমেলা বেগম রাস্তার জায়গাতেই তুলেছেন গোয়ালঘর, বাথরুম, রান্নাঘর। সামান্য বৃষ্টি ও পানিতে গোয়ালঘর আর বাথরুমের ময়লা রাস্তায় এসে পড়ে। দুর্গন্ধ আর ময়লায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা হয়। সরকারি রাস্তার অপর পাশ দখল করে মৃত আব্দুল খালেক মাতুব্বরের ছেলে জুনাব শেখ লাগিয়েছেন সারি সারি গাছ। দু’পাশ থেকে দখল হওয়ায় রাস্তাটির এখন প্রস্থে দাঁড়িয়েছে ৫/৬ ফুট। এতে ওই এলাকার স্কুলগামী শিক্ষার্থী সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল মোল্যা বলেন, রাস্তার আশপাশের কয়েকজন জমির মালিক সরকারি ওই রাস্তাটির কিছু অংশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। আমি সরেজমিনে গিয়ে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছি।
Leave a Reply