অ্যাড. কোরবান আলী: পদ একই তারপরও ব্যবধান কিন্তু কেনো? কেনোর উত্তর দিয়েছে এলাকাবাসী। আগের ওসি মোহাম্মদ গোলাম রসূল বোয়ালমারী থানায় যোগদান করেন গেল বছরের ১০ সেপ্টেম্বর। ৫ মাস ১ দিন কর্মরত থেকে এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন। ৫ মাস ১ দিনের মধ্যে আমি একদিন মাত্র থানায় গিয়েছিলাম। রজতজয়ন্তী সংখ্যার বিষয়ে আলাপ করার জন্য। কথাবার্তায় যা বুঝলাম তা আমার মতো অনেকেই বুঝেছেন। তাদের বুঝের কথাই বলি। বিদায়ের দিনেই যোগদান করেছেন ওসি মাহমুদুল হাসান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় একমাস হতে চললো। চেয়ারে বসেই কুশল বিনিময় হয়েছে এলাকার রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, কবি সাহিত্যিকসহ প্রায় সব শ্রেনীপেশার মানুষের সাথে। যারাই তার কাছে গেছেন সবাই বলেছেন, আগের ওসি এবং বর্তমান ওসির মধ্যে অনেক ব্যবধান। আগের ওসি তার কর্মকালে মুখোমুখি হতে চাননি সাংবাদিকদের। তথ্য চেয়ে মেলেনি সহজে। যাবার কিছুদিন আগে চৌরাস্তায় এক জনসমাবেশে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মাদক ধরে ছেড়ে দেবার অভিযোগ আনলেন সাবেক সংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। যদিও পরদিন নিউমার্কেটে আরেকটি মিটিংয়ে তার পক্ষে সাফাই গাইয়েন কয়েকজন। দুইদিন যেতে না যেতেই তারাও নানা অভিযোগ উত্থাপন করলেন ওসির বিরুদ্ধে। কেনো সাফাই গাইলেন প্রশ্ন তুলতেই ভুল হয়ে গেছে বলে জানান। এরপর আর বেশিদিন এ থানায় থাকতে হয়নি তাকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ওসি মাহমুদুল হাসানের সাথে এলাকার বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য এক আলাপচারিতায় অনেক কথা হয়। তার কথা মতো কাজ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সবাই ভালো বলেছে। আচার-আচরণ, কথা-বার্তায়, ব্যবহারে, কর্মনিষ্ঠ, দায়িত্ববান ওসি মাহমুদুল হাসান ওসি গোলাম রসূলের চেয়ে অনেক ভালো বলে মন্তব্য করেছে এলাকাবাসী।
Leave a Reply