অ্যাড. কোরবান আলী: রোজার মাস, পবিত্র মাস এ বিশ্বাস আমরা সবাই করি। তার মধ্যে কাটাগড় এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। দুইপক্ষের লোকই চিকিৎসাধীন আছে। পরস্পর বিরোধী দু’টি মামলা হয়েছে। প্রশাসন আসামি ধরতে তৎপর রয়েছে। এর মধ্যেই ১৭ ও ১৮ মার্চ পরপর দু’দিন একে অপরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। আশ্চার্যের বিষয় হলো, যে দুজন সম্মানিত ব্যক্তি ওই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়। তাদের নাম উল্লেখ করে হাইবোল্টেজের স্লোগান হচ্ছিল ‘দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’। যারা স্লোগান দিয়েছেন তাদের ব্যক্তিত্ব কি, কি তাদের নেশা এবং পেশা তা সকলেই জানে। কি জুতা মারবেন, চটি না স্যান্ডেল, বাটা না অ্যাপেক্স। এর কোনোটাই ক্রয় করার ক্ষমতা আপনাদের আছে কি? জীবনে কাউকে কোনোদিন মেরে দেখেছেন কি? আপনারা গালে মারতে চেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, পায়ে মারারও ক্ষমতা নেই । তাদের উপরের না তলের একটি লোমও ছিড়ার ক্ষমতা নেই আপনাদের। অথচ সম্মানিত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাড়িয়ে অশ্লীল বাক্যবাণে বিশ্রী ভঙ্গিতে যা ইচ্ছে তাই বলে গেলেন। আপনারাই দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে গেলে তাদেরই পরিচয় বহন করতে হয় আপনাদের। তাদের পরিচয়ে পরিচিত এই এলাকার অনেক মানুষ। তারা রাজনীতিবিদ তাদেরকে খাটো করে আপনারা বড় হতে চান কোনো আক্কেলে। আপনাদের ডজন ডজন এক পাল্লায় উঠালে তাদের এক আঙ্গুলের ভর অনেক বেশি। রমজান মাসে অধিকাংশ পণ্যের দাম নাগালে থাকলেও বিশেষ করে চাউলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এ বিষয় নিয়ে স্লোগান দিলে এলাকার অনেক মানুষ আপনাদের জন্য দোয়া এবং আর্শিবাদ করতো। উপকার পেত এলাকার হতদরিদ্র মানুষগুলো। এদের কথা কে ভাবে। যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ। সমাজ ভালো থাকলে ভালো মানুষগুলো ভালো থাকে। অশান্ত থাকলে কদর বাড়ে সন্ত্রাসী কিসিমের টাউট, বাটপার দালালদের। সবিনয় রাজনীতিবিদদেরও বলি, সন্ত্রাসী টাউট বাটপার দালালদের প্রত্যাখান করে ভালো মানুষদের কাছে টেনে নিন। তাতে আপনার লাভ, সমাজের লাভ, দেশের লাভ। আর যাই হোক, ভালো লোকগুলো হেরফের হলেও তারা কখনও আপনার গালে জুতা মারতে আসবে না।
Leave a Reply