বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের প্রেমতারা গ্রামে জামাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় জামাইকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভিযোগ সূত্রে জানায়, বছর দুয়েক আগে সাতৈর ইউনিয়নের প্রেমতারা গ্রামের মো. ফসিয়ার শেখের মেয়ে রোমেসাকে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী দাদপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামুলারকান্দি গ্রামের হারেজ শেখের ছেলে মোহাম্মদ আলী মিয়া। তাদের পরিবারে আছিয়া নামে তিনমাস বয়সী একটা কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। জামাই আলী মিয়া ও শ্বশুর ফসিয়ার শেখ ট্রলি ও ধান মাড়াইয়ের মেশিন ভাড়া নিয়ে যৌথভাবে জমি চাষ ও ধান মাড়াইয়ের কাজ করে আসছিল। গত বছর জামাই-শ্বশুর যৌথভাবে জমি চাষ ও ধান মাড়াইয়ের কাজ করে। ব্যবসা ভালো হওয়ায় এ বছর আলী মিয়া জমির মালিকদের থেকে অগ্রীম দেড় লাখ টাকা নিয়ে শ্বশুরকে দেয়। জামাই-শ্বশুর মিলে ৩টি মেশিন ভাড়া নেয়। সময়মতো জমি চাষ করতে না দেয়ায় জামাই-শ্বশুরের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও কলহ-বিবাদ দেখা দেয়। একপর্যায়ে শিশু সন্তান আছিয়াকে রেখে রোমেসা বাবার বাড়িতে চলে যায়। ঈদের কেনাকাটা করে শিশু বাচ্চাকে নিয়ে ২২ মার্চ রোমেসাকে আনতে শ্বশুর বাড়ি প্রেমতারা যায় আলী মিয়া। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওইদিন বিকেলে আলী মিয়াকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। মরে গেছে ভেবে তারা লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে রাতভর চেষ্টা করে। পরদিন ২৩ মার্চ সকালে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আলী মিয়াকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সে এখন ভর্তি হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
Leave a Reply