‘হয় রাস্তা দিবি, নয় দিবি জীবন’
—————————-
বোয়ালমারীতে কৃষকের জমি দখল করে ব্যাক্তিগত রাস্তা নির্মাণ প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকি
বোয়ালমারীতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল করে ব্যাক্তিগত রাস্তা নির্মাণ ও কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মোঃ সিরাজুল ইসলাম ছিরু নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কাজী মোঃ আহাদুজ্জামান নামে এক ভুক্তভোগী। সম্প্রতি উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।
ভুক্তভোগীর লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গ্রামের সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান কাজী আহাদুজ্জামান একজন নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। নিজ বাড়ির অদূরে একটি দাগে ৬০ শতক কৃষি জমি রয়েছে তার। সম্প্রতি এই জমির পশ্চিম দিকের সীমানা ঘেঁষে একটা অংশ গায়ের জোরে দখল করে তার উপর মাটি ফেলে রাস্তা নির্মাণ করেন প্রতিবেশী মোঃ সিরাজুল ইসলাম ছিরু। প্রায় একশত ফুট লম্বা এবং চার ফুট চওড়া রাস্তা তৈরিতে প্রায় ১৫/২০ জন লোক নিয়োগ দেন সিরাজুল ইসলাম। যারা স্থানীয় ভাবে খুবই প্রভাব শালী। সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে এর প্রতিবাদ করে কোন সুফলতো মেলেইনি বরং উল্টো গালমন্দ,হুমকি-ধামকি খেয়ে পিছু হটতে হয় আহাদুজ্জামান কে। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সবাইকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহবান জানিয়ে জমি মাফ-ঝোকের পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জমি মাপ-ঝোকের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারিত হলে বিবাদীদের তৈরি করা রাস্তাটি বাদীর জমির আওতাধীন বলে প্রমাণিত হয় এবং তাৎক্ষনিক ভাবে ঐ রাস্তা সহ গোটা জমির চৌহদ্দি বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখার ব্যবস্থা করেন আহাদুজ্জামান। একই সঙ্গে নবনির্মিত সড়ক উচ্ছেদ না করে তার উপর অর্ধ শতাধিক কলাগাছ রোপন করেন ভুক্তভোগী। কিন্তু পরিতাপের বিষয়,এর দু-তিন দিন পরেই লোক চক্ষুর আড়ালে কেটে ও উপরে ফেলে সবগুলো কলাগাছ নষ্ট করে দুষ্কৃতকারীরা। শুধু তাই নয়,জমির চারপাশের বেড়াও তারা উচ্ছেদ করে এতে ব্যবহৃত বাঁশ-কাঠ সহ অন্যান্য সামগ্রী লুটে নিয়ে যায় তারা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কাজী আহাদুজ্জামান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,বিবাদিপক্ষ খুবই প্রভাবশালী। তাদের ধনবল,জনবলের কাছে আমি একেবারেই অসহায়। তারা জোর করেই আমার জমি দখল করে রাস্তা বানিয়ে ভোগ দখল করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা আমাকে নানা রকম হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভিতি দেখিয়ে চলেছে। বলছে,হয় রাস্তা দিবি নয় জীবন দিবি। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সকল মহলের সহানুভূতি কামনা করেন অসহায় আহাদুজ্জামান।এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধীকবার কল করা হলেও তা বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply