বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মসজিদের ইমাম, হাফেজ আকাশ মোল্যার বিরুদ্ধে মিথ্যা ‘ধর্ষণ চেষ্টার মামলা’ প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের পঁচা মাগুরা গ্রামে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে আরিফ মোল্যা নামে এক ফার্ণিচার দোকানের কর্মচারী। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে স্ত্রীকে দিয়ে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছেন তিনি।
জানা যায়, পঁচা মাগুরা গ্রামের আরিফ মোল্যার সাথে প্রতিবেশী মোশারফ হোসেন মোল্যার জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে গত ১০ এপ্রিল আরিফ মোল্যার পরিবার ও মোশারফ হোসেন মোল্যার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়ে ও একপর্যায়ে মোশারফ হোসেন মোল্যার ছেলে হাফেজ আকাশ মোল্যার উপর হামলা চালায়। এতে মারাত্মক আহত হন হাফেজ আকাশ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেন। পরদিন ১১ এপ্রিল সকালে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বাসায় বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসকগণ ছাড়পত্র দেন। এ ঘটনায় মোশারফ মোল্যা বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় আরিফসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রতিপক্ষ আরিফ মোল্যা তার স্ত্রীকে দিয়ে আকাশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান।
এ মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাফেজ আকাশ মোল্যা আরিফ মোল্যার বাড়িতে ওতপেতে থেকে তার স্ত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বেড় হলে তাকে জোর করে পাশের একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার শোর চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসলে আকাশ পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী দাবি করেন, বিকাল থেকেই আহত হয়ে আকাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাতেও অবস্থান করেছেন সেখানে। যার সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করলেই পরিস্কার হয়ে যাবে। হাসপাতালের বেডে থাকা একজন লোক কী ভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন?
এ বিষয়ে আল আমিন মোল্যা বলেন- ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো এবং আকাশের উপর হামলার মামলাকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই এই নাটক সাজানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
আকাশের মা চম্পা বেগম বলেন- আমার ছেলে একজন হাফেজে কোরআন, সে একটি মসজিদে ইমামতিও করে। আমার সন্তানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ আমাদের করা মামলার এগিনেস্টে পাল্টা মামলা দাঁড় করাতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও আমার সন্তানকে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
Very good https://is.gd/N1ikS2
Very good https://is.gd/N1ikS2
Very good https://is.gd/N1ikS2
Very good https://is.gd/N1ikS2
Good https://is.gd/N1ikS2
Good https://is.gd/N1ikS2
Good https://is.gd/N1ikS2
Good https://is.gd/N1ikS2