বোয়ালমারী প্রতিনিধি: অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো নিজের কর্তব্য মনে করেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ছোলনা গ্রামের মো: হেদায়েতুর রাফি (সুমন রাফি)। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় এতিম শিক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়তা করছেন তিনি।
রোববার তিনি জানান, বোয়ালমারীর বিভিন্ন মাদরাসার অন্তত ৫০ জন এতিমকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন তিনি।
‘এতিমদের সহায়তা’ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত উপজেলার পাঞ্জেরী মডেল মাদরাসা, ছোলনা চতুল রওজাতুল উলুম মাদরাসা, মধ্যেরগাতী মাদরাসা, বায়তুল মা’আরিফ হাফেজিয়া মাদরাসা, ঘোড়াখালি মাদরাসা, কামারগ্রাম হাওড়ে ব্রিজ মাদরাসা ও চালিনগর আমগ্রাম সোতাশী মাদরাসায় নানা ধরনের সাহায্য উপকরণ কিনে দিয়েছেন সুমন রাফি।
তিনি বলেন, উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চারটিতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করেছি। বাকিগুলোতে খাদ্য ও শিক্ষা সামগ্রী এবং গাছ রোপনসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছি।
সুমন রাফি জানান, এই এতিমদের সহায়তা কর্মসূচি শেষে হলে আর্থিকভাবে অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল- এমন ২০টি মাদরাসায় ২৪ কেজির এক বস্তা করে চাউল বিতরণ বিতর করব ইনশাআল্লাহ। সুমন রাফির এই সামাজিক কর্মকান্ডে সহায়তা করেছেন বোয়ালমারী বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি মরহুম নুরুজ্জামান খসরু মিয়ার মেজো ছেলে বিলাস জামান। এজন্য তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
সুমন রাফি জানান, এতিমদের সহযোগিতা করার দ্বারা তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তার এই কর্মসূচি শেষ হবে।
উল্লেখ্য, হেদায়েতুর রাফি সুমন। সবার কাছে পরিচিত সুমন রাফি নামে। বয়স ৩৩ বছর। কারো কাছে তিনি একজন তরুণ সমাজসেবী, কারো কাছে অসহায় মানুষের বন্ধু। আবার অনেকেই তাকে বলেন গরিবের বন্ধু। সমাজের গরিব, অসহায়, দুস্থ, বিপদগ্রস্ত, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা ও সেবা করাই যেন সুমন রাফির কাজ।
সুমন রাফি বোয়ালমারী উপজেলার পৌর সদরের ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা ও ঐতিহ্যবাহী জর্জ একাডেমির অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মো: শওকত হোসেন মিয়ার (শওকত মাস্টার) ছেলে। মা রাবেয়া বেগম একজন গৃহিণী। বোন শারমিন সুলতানা রিতা সবার বড়। আমেরিকার সিটিজেন। বড় ভাই হায়াতুর রাফি নয়ন একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দ্বিতীয় তলায় রোজা জুয়েলার্স নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তারা দুই ভাই। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের তার অর্থ থেকে নিজের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে বাকি সবটুকু মানব কল্যাণে ব্যয় করেন সুমন।
Leave a Reply