বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে লাখ টাকার ফ্রিজিয়ান জাতের একটি অসুস্থ গরু মাংস বিক্রেতার (কসাই) কাছে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মী বিকাশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বিকাশ বিশ্বাস রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় নিচেপাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের কলিমাঝি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইসসিপি (কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডর) পদে চাকুরী করেন। বিকাশের স্ত্রী বনশ্রী বলেন, গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে ক্যালসিয়ামের জনিত কারণে। তার দুই পা নিয়ে সে উঠতে পারতো না। অনেক পশু চিকিৎসকদের গরুটা দেখানো হয়েছে। তবে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই সে গরুটা ২৫ হাজার টাকায় কামরুল কসাইয়ের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। কসাই গরু কি করেছে তা আমরা জানিনা। বিকাশ বিশ্বাস বলেন, গরু দুর্বল হয়ে পরেছিল। তাই মাংস বিক্রেতা কামরুলের কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। সেই গরুর ১ বছর বয়সী একটি বাছুর রয়েছে। শেখর ইউনিয়নের টেকনিশিয়ান মো. জয়নাল বলেন, বিকাশের গরু ৪-৫ দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে গরুর চিকিৎসা করেছি। গরুটা অনেক দুর্বল ছিল। দুর্বলের কারণে ভিটামিন সহ অন্যান্ন ওষুধপাতি দেয়া হয়েছে। তবে সে গরুর মাংস খাওয়ার উপযোগী না। বিকাশ বিশ্বাস গরু কি করেছে আমি জানিনা। অসুস্থ গরু ক্রয় করেছেন সহস্রাইল বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. কামরুল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন বলেন, বিকাশের গরু অনেক দিন যাবত ক্যালসিয়াম জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে সামনের দুটি পা অকেজো হয়ে পড়েছিল। গরু হাটতে ও চলতে পারতোনা। সেই অসুস্থ গরু মাংস বিক্রেতা কামরুল কম দামে কিনে সহস্রাইল বাজারে বিক্রি করেছেন। মাংস বিক্রেতা কামরুল বলেন, গরুটা অনেকটাই দুর্বল ছিল এটা ঠিক। সে গরু ২৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। তবে সহস্রাইল বাজরে সেই গরুর মাংস বিক্রি করিনি। গরুটা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির পরানপুর হাটে বুধবার ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, পৌরসভা এলাকায় পশু জবাই করার দেখ ভালে ১০ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। তবে পৌরসভার বাইরে এটা দেখা অসম্ভব তবে সাথে সাথে জানলে বিষয়টা নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া যেত। এখন যখন মাংস বিক্রি করা হয়ে গেছে এখন আমার করার কিছু নেই। তবে ইউএনও স্যারকে জানান তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এম এম নাহিদ আল রাকিব বলেন, এ বিষয়টা অনেক দুঃখজনক। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী এমন কাজ করে থাকলে এটা সে ঠিক করেনি। আমি বিশেষ কাজে অফিসের বাইরে এসেছি। অফিসে এসে তাকে ডেকে শোনা হবে, সে একজন মানুসের সেবক হয়ে এমন কাজ কি করে করলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসাইন বলেন, এ বিষয়ে আপনার মাধ্যমে সবে মাত্র জানতে পেরেছি। তবে এমনটি ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply