বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত মিয়ার বিরুদ্ধে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সালিশে বৈঠকে কয়েকজন বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় লোকজন হেমায়েত হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর প্রদান করেন। তবে তিনি বা তার কোনো প্রতিনিধি এ সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
সালিশ বৈঠক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত মুন্তাজ সেখের ছেলে মো. ইসরাফিল সেখ দুর্গাপুর মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ১ একর ৩৪ শতক জমি ডিসিআর কেটে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু একই গ্রামের মৃত নুরুদ্দিন মিয়ার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মো. হেমায়েত হোসেন মিয়া উক্ত সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমিটি নিজের নামে বন্দোবস্ত নিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩ মার্চ সোমবার সকাল ১১টায় শেখর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার মো. তৈয়বুর রহমানের কার্যালয়ে স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠক হেমায়েত হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ শতাধিক লোক। তারা দাবি করেন, হেমায়েত হোসেন মিয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়। তিনি ইসরাফিল সেককে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মনগড়া তথ্য দিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ সময় গণস্বাক্ষরপত্রে স্বাক্ষর করেন শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বোয়ালমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন সহকারী কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম. রকিব আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ছলেমান সিকদার, আবু বকর মৃধা, মো. জহুরুল হক, মো. কাছেদ মোল্যা, মো. মোস্তফা, মো. ওসমান আলী, মো. শাহজাহান শেখ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, মো. বাচ্চু শেখ, হারুন মৃধা, মো. আতিয়ার সরদার প্রমুখ।
শেখর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা মো. হেমায়েত হোসেন মিয়ার সাথে যোগাযোগের জন্য (০১৭১৮-২৭২৭৯০) নম্বরে একাধিকবার কল দেয়া হলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply