বোয়ালমারী প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের খরসূতী গ্রামে একটি আধাপাকা সড়ক উচ্ছেদের পায়তারা করছেন স্থানীয় মোঃ আরশাদ শেখের পরিবার। এ লক্ষে রাস্তাটির অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ফেলে রাস্তার ইট চুরি এবং সেখানে কলাগাছ লাগানোর অভিযোগ উঠেছে ওই পরিবারটির বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম খরসূতী-বেলজানী সংযোগ সড়ক নামে পরিচিত রাস্তাটি মূলত একটি বহু পুরাতন হালট। এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে হালটটি ব্যবহার করে আসছেন তাদের যাতায়াতের অতি প্রয়োজনীয় পথ হিসাবে। গুরুত্ব বিবেচনায় বছর দুয়েক আগে ৬ শত ফুট দৈর্ঘ্যের হালটটি সংস্কার করে এর ২৭০ ফুট অংশ ইটের সলিং করা হয়। সরকারী হালট হিসাবে বেশ স্বস্তিতে এতকাল এটি ব্যবহার করে আসছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মাপ-ঝোককালে রাস্তাটির পুরো জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির আওতায় চলে যায়। পাশাপাশি এ হালটের বিপরীতে কাগজপত্রে কোন সরকারী হালটেরও অস্তিত্ব অনুপস্থিত থাকে। ফলে এ সুযোগ লুফে নেন উক্ত আরশাদ শেখ। তিনি রাস্তার জমির মালিকানা দাবী করে সেটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন এবং রাস্তাটি উচ্ছেদের পায়তারায় লিপ্ত হন। এরই অংশ হিসাবে সম্প্রতি আরশাদ শেখ সড়কটির অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ফেলেন এবং রাস্তার সরকারী ইট চুরি করে সেখানে কলাগাছ রোপন করেন। শুধু তাই নয় সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী নাম ফলকটিও পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে আরশাদের লোকজন। এ ঘটনায় পথচারী এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম নামে একজন গ্রামবাসী বলেন, হালট বা সড়কটি অনেক পুরাতন। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী এর সুবিধা ভোগী। রাস্তাটিতে আমারও একশতক জমি রয়েছে। আরশাদ শেখসহ এলাকার সকলের স্বার্থে ও সম্মতিতে রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ হয়। গ্রাম্য রেশারেশীর জেরে আরশাদ এখন রাস্তার জমি ফেরত চাইছে। এটা অন্যায় ও অমানবিক। রাস্তা বন্ধ হলে বহু মানুষ যোগাযোগ বিড়ম্বনায় পড়বেন। তাছাড়া যেহেতু রাস্তায় সরকারী কাজ হয়েছে তাই ইচ্ছে করলেই তিনি সরকারী সম্পদের ক্ষতি করতে পারেন না। আরশাদ শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সড়কের সিংহভাগ জায়গা আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। অপরের স্বার্থে আমি একা কেন এত ক্ষতিগ্রস্ত হবো? ইটচুরি ও নাম ফলক ভাঙ্গার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইমদাদ হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply