খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর মে মাসের ৪ তারিখে কথা কাটাকাটির জের ধরে মামলায় উল্লেখিত বিবাদি ৩ নং আসামি মো. ইমরান চৌধুরীকে সংঘবদ্ধভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম করে। ভূলবাড়ীয়া গ্রামের মো.বিপ্লব মোল্যার ছেলে অনিক মোল্যা (১৯),হামিদ মোল্যার ছেলে তৈয়বুর (৩০) ও রশিদ মোল্যার ছেলে জিয়াউর রহমান( ৪০)।
পরবর্তীতে গ্রাম্য শালিশে শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ইস্রাফিল মোল্যা, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মো.রইসুল ইসলাম পলাশ,কাজী নজরুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনিক মোল্যা গংদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কিন্তু ইমরান চৌধুরী এলাকার শান্তি শৃংঙ্খলার স্বার্থে শালিশের জরিমানার টাকা নেয়নি। হামলাকারী অনিক শালিশের পরের দিন ইমরান চৌধুরীকে হুমকি দিয়ে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়।
পরবর্তিতে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ সহস্রাইল হাই স্কুল মাঠে ফুটবল খেলার দিনে বিকেলে রেল লাইনের পশ্চিম পাশে পূর্বের ফেসবুকে পোস্টের কথা অনিক মোল্যার কাছে জানতে চায় ইমরান চৌধুরী, ও আকাশ চৌধুরী। অনিক উত্তেজিত হয়ে বলে পোস্ট দিয়েছি কি হয়েছে, এই কথা বলায় নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিয়াউর রহমান দৌড়াতে গিয়ে রেলের পাশে পড়ে যায়।পরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিক ও জিয়াউরকে ভর্তি করানো হয়।
শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইস্রাফিল মোল্যা, আসলাম চৌধুরী, ইমরুল চৌধুরী, সাবেক মেম্বার ইয়ার আলী আহত অনিক, জিয়াউরকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে গিয়ে চিকিৎসা সহায়তাসহ মিমাংসা করার প্রস্তাব দেন।
পরের দিন ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ মামলায় উল্লেখিত বাদী জিয়াউর রহমান বোয়ালমারী থানায় ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড মুলে মামলা রুজু করেন।
মামলা নং ৭ মামলার ধারায় উল্লেখ করা হয় পুর্ব পরিকল্পিতভাবে বেআইনী জনতাবদ্ধে গতিরোধ পুর্বক খুন করার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া সাধারণ ও গুরুতর জখম করতঃচুরি হুমকি ও হুকুম দানের অপরাধ।
মামলার বাদী জিয়াউর রহমান পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ জিয়াউর হাত ভাঙার এক্সরে করান সেই রিপোর্টে দেখা যায় পুরাতন হাত ভাঙার ছবি।
মামলার ৫ নং আসামি শেখর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল মামুন চৌধুরী আশা বলেন উল্লেখিত, মামলার বাদি জিয়াউর রহমান বিদেশে মালায়েশিয়া থাকা অবস্থায় কনস্ট্রাকশন কাজ করতে গিয়ে বাম হাত ভেঙে যায় ঠিক সেই একই জায়গার ছবি মামলায় ব্যবহার করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে নতুন করে তার হাত ভাঙেনি।
আমার ছোট ভাই মামলার ৬ নং আসামি এবার এইসএসসি পরিক্ষার্থী সে ৪ সেপ্টেম্বর মহম্মদপুর ফুটবল একাদশের পক্ষে জোনাসুর মাঠে বিকেলে ফুটবল খেলতে যায় অথচ তাকে ও চাচাত ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী হৃদয় চৌধুরী ও বাবা আসলাম চৌধুরী ও চাচা আশিক চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।তারা দুইজনই সহস্রাইল বাজারের ব্যবসায়ি গোলমালের সাথে কোনভাবেই জড়িত না।
শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা বলেন, এ বছর মে মাসে অনিক গং ও ইমরান চৌধুরী গং গোলমাল করে পরে আমরা মিমাংসা করে দেই, এমনকি ইমরান এলাকার স্বার্থে জরিমানার টাকাও নেয়নি কিন্তু অনিক ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে এই গোলমালের সৃষ্টি করছে। আমরা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসে মিমাংসা করার সুযোগ ছিলো কিন্তু তারা না বসে মামলা করেছে।
মামলার বাদী জিয়াউর রহমান বলেন, মামলার উল্লেখিত বিবরন সঠিক আমাদের প্রাননাশের উদ্দেশ্যে ইমরান চৌধুরী গং হামলা চালিয়েছে। এজন্য আমি মামলা করেছি। দুর্বল লোকরাই মামলা করে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ আব্দুল ওহাব বলেন, মামলা তদন্তপূর্বক রুজু করা হয়েছে বিবাদীদের অভিযোগ সঠিক নয়।এসএসসি ও এইসএসসি পরিক্ষার্থী আসামি হওয়া দুঃখজনক। বিজ্ঞ আদালত মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
Leave a Reply