বোয়ালমারী প্রতিনিধি: পুরো নাম মোঃ হেদায়েতুর রাফি, সবাই চিনে সুমন রাফি নামে। যিনি বোয়ালমারী পৌর সদরের ছোলনা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ শওকত হোসেন মিয়ার ছোট সন্তান। সেই করোনা কালীন সময় থেকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দরিদ্র অসহায় রোগীদের খোঁজ খবর নিয়ে নিয়মিত ওষুধ, ইনজেকশন, স্যালাইন ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী কিনে দিয়ে পাশে থাকেন। হাসপাতালে ভর্তি অসহায় রোগীর প্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্ট করিয়ে দেন নিজ অর্থায়নে। করেন রোগীদের আর্থিক সহায়তা। করোনা কালীন সময়ে যখন সাধারণ মানুষ হাসপাতালে যেতে ভয় পেতো তখনও তিনি বিভিন্ন অসহায় অবহেলিত রোগীদের পাশে থেকে করেছেন সেবা যত্ন। মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে জোগাড় করে দেন প্রয়োজনীয় রক্ত। রক্তদানে তার কার্যক্রম ইতোমধ্যে বোয়ালমারীতে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে আশা দরিদ্র অসহায় অবহেলিত রোগীরা তাকে পেলে যেন স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। মানবতার কল্যাণে করা সুমন রাফির কাজগুলো বিভিন্ন মিডিয়ায় স্থান পেয়ে আসছে। বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলাসহ আশপাশের সাধারণ মানুষ তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা সুমন রাফি নামে জানে। তার বেশ কিছু মানবিক কাজ দেশব্যাপী ভাইরাল হয়েছে । যার মধ্যে অন্যতম বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের চরবর্নী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন লোহার শিকলে বিশ বছর বন্ধী মোঃ রবিউল ইসলামের চিকিৎসার উদ্যোগ ও চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়া। এসব বিষয়ে সুমন রাফির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মহান আল্লাহ যতদিন সামর্থ্য রাখে, ততোদিন এই কাজগুলি করে যাবো মানবতার কল্যাণে।
Leave a Reply