বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মো. কাইয়ুম মোল্যার বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে কাইয়ুম মোল্যা একই গ্রামের মো. ইলিয়াস শেখ, বিল্লাল মোল্যা, আব্দুল ওহাব সিকদার ও মো. জাহিদুল মোল্যাকে ওমানে ইলেক্টট্রিশিয়ান হিসেবে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রলোভন দেখায়। প্রত্যেকে ২ লাখ ৮০ হাজার করে দিলে মাসিক ৬০ হাজার টাকা বেতনে তাদের চাকরি দেয়া হবে বলে জানায়। সে মোতাবেক তারা ৪ জন মিলে কাইয়ুম মোল্যাকে প্রায় ১০ লাখ টাকা দেয়। এছাড়া তাদের নিজেদের টাকায় পাসপোর্ট ও মেডিকেল করানো হয়। কাইয়ুম মোল্যার নিজের ভাড়াকৃত গাড়িতে বিদেশ গমনেচ্ছুকদের নিয়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোররাতে মেডিকেল করতে রওনা হয়। গাড়ি গোয়ালন্দ মোড় পার হয়ে কিছুদূর গেলেই কাইয়ুম মোল্যা রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করাতে বলেন। গাড়ি সাইড করার সাথে সাথেই একদল ডাকাত গাড়িতে উঠে বসে। ডাকাতেরা একমাত্র কাইয়ুম মোল্যাকে বাদ দিয়ে অন্য সকলের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। যাত্রীদের মধ্যে বিল্লাল মোল্যা টাকা দিতে গড়িমসি করলে ডাকাতরা তার বুকে গুলি করে। সে ডান দিকে ক্যাত হলে তার বাম হাতের উপরের অংশে গুলি লাগে। কাইয়ুম মোল্যা বাদে সবার কাছ থেকে মূল্যমান সবকিছু ছিনিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে বিল্লাল মোল্যা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। সুস্থ হয়ে পুনরায় তারা মেডিকেল করে। এমনকি কাইয়ুম মোল্যা ঢাকায় নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। সেই থেকে অদ্যাবধি তাদেরকে আর বিদেশ (ওমান) নেয়নি কাইয়ুম মোল্যা। এক পর্যায়ে কাইয়ুম মোল্যা পালিয়ে বিদেশ চলে যায়। প্রায় দুই বছর পূর্বে কাইয়ুম মোল্যা বাড়িতে বাড়িতে আসলে, পাওনাদাররা ওই এলাকার গন্যমান্য লোকদের নিয়ে এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। সালিশ বৈঠকে কাইয়ুম মোল্যাকে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দিলে সে একমাসের সময় নেয়। টাকা ফেরত না দিয়ে সে আবারো পালিয়ে বিদেশ চলে যায়। পুনরায় এ বছরের জুলাই মাসে কাইয়ুম মোল্যা বাড়ি আসলে পাওনাদাররা তাকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। সে তাদের টাকা না দিয়ে উল্টো পাওনাদারদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে। এ বিষয়ে পাওনাদাররা থানায় যোগাযোগ করলেও কাইয়ুম অনুপস্থিত থাকে।
Leave a Reply