বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পূর্ব শত্রুতের জের ধরে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বাজিদাদপুর গ্রামে। আহত গৃহবধূর নাম মমতা বিশ্বাস। দুই সন্তানের জননী মমতা বিশ্বাস ওই গ্রামের দীপক বিশ্বাসের স্ত্রী। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শেখর ইউয়িনের বাজিদাদপুর গ্রামের দীপক বিশ্বাসের সাথে একই এলাকার রতন বালা, আশুতোষ বালা ও কৃষ্ণপদ মণ্ডল গং এর সাথে গ্রাম্যদলাদলি নেয় পূর্বশত্রুতা রয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে অর্তকিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দীপক বিশ্বাসকে হত্যার লক্ষ্যে তার বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। দীপক বিশ্বাসের স্ত্রী মমতা বিশ্বাস এগিয়ে আসলে জয়পাশা ফজলুল হক একাডেমির শিক্ষক আশুতোষ বালার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে । দীপক বিশ্বাস বাড়িতে না থাকায় তার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। প্রতিপক্ষের সন্ত্রসীরা এ সময় মমতা বিশ্বাসের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয় ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত মমতা বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আশুতোষ বালা ওই গৃহবধূকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ঘটনার সময় আমি স্কুলে একদল শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলাম। এদিকে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক বা অন্য কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ান না।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মোরশেদ আলম জানান, মমতা বিশ্বাসের শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply