মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধানে তিনবার রদ-বদল হলো ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরে অবস্থিত কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের এডহক বা অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সভাপতি পদে। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে। ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ৯ সেপ্টেম্বর কলেজের পুরাতন গভর্নিং বডি ভেঙে দিয়ে পাঁচ সদস্যের নতুন এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ৬ মাস মেয়াদি এ কমিটির সভাপতি পদে সাবেক সাংসদ বি এন পি নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে মনোনীত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মহিলা কলেজ পরিবার সাড়ম্বরে নাসিরুল ইসলামকে বরণ করে নেন। কিন্তু এর মাত্র ২০ দিনের মাথায় কাকতালীয় ভাবে খন্দকার নাসিরকে সরিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় কলেজ প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক এমপি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কাজী সিরাজুল ইসলামকে। এ ঘটনায় খন্দকার নাসির বলয়ে বেশ হতাশার সৃষ্টি হলেও তার দলীয় বিরোধী শিবির এবং কাজী সিরাজ পন্থীদের মাঝে যখন হৈ-হুল্লোড় চলছিল ঠিক তার ৫ দিনের মাথায় ফের ঘটে অঘটন! কাজী সিরাজকে টেক্কা দিয়ে মহিলা কলেজের সভাপতি পদে পুনরায় বহাল হয়েছেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। গত ৩ সেপ্টেম্বর তাকে সভাপতি পদে পুনর্বহাল করে একটি আদেশ জারি করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সর্ব মহলে এখন আলোচ্য বিষয় এই পাল্টাপাল্টি রদ-বদল প্রক্রিয়া। এক প্রতিক্রিয়ায় কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের পুনর্বহাল সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাধু কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে স্বৈরাচারের দোসর কাজী সিরাজ মহিলা কলেজের পদ দখলে নিতে সক্ষম হয়। তাকে সহযোগিতা করে বি এন পি নামধারী একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী। তারা কাজী সিরাজকে নবাগত বি এন পি নেতা সাজিয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে। কিন্তু ৫ আগস্টের মূল চেতনার কাছে তাদের সব অপচেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে।
Leave a Reply